Header Ads

Header ADS

রাহুলের কংগ্রেস পার্টি কী মোদিকে পরাজিত করতে পারে?(Can Congress party under Rahul Gandhi defeat Modi? )

rahul gandhi


২০১৯ সাল ভারতের জাতীয় ইলেকশ।এই জন্য এখনিই কংগ্রেসের তরন নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান চ্যালেঞ্জার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। ভারতের প্রধান বিরোধী দল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে, কংগ্রেস অভিযোগ করে যে সরকার দুর্নীতির পরীক্ষায় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির অঙ্গীকার পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

কংগ্রেস পার্টির নেতা পলায়নীপ্পন চিদম্বরম দলটির 84 তম অধিবেশনে বলেন, "অকার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা দরকার"। কংগ্রেস দল মোদির সরকারকে দোষারোপ করে অর্থনীতির অপব্যবহারের জন্য। যেমন- এক বছর আগে ভারতের 80 শতাংশেরও বেশি মুদ্রা বিলোপের ফলে ভারতের প্রবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধস নামে।আর এর জন্য একমাত্র দায়ী নরেন্দ্র মোদী।

মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ঐতিহ্যবাহী সমর্থক বলেন গুড ও সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) আইন গত বছরের শুরুতে বেশ খানিকটা হতাশায় ফেলে বিজনেস কমিউনিটির মধ্যে।যা এখনো বিদ্যমান। ২014 সালে মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কংগ্রেস পার্টির প্রভাব নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।দলটি বর্তমানে ভারতের ২9 টি রাজ্যে মাত্র চারটির ক্ষমতায়
আছে।বিজেপি 21 রাজ্যে শাসন ক্ষমতা উপভোগ করছে।রাহুল গান্ধী তার মা সোনিয়া গান্ধী নিকট থেকে ডিসেম্বরে কংগ্রেসের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, 133-বছর-বয়সী দল রাহুলের অধীনে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

"দেশের সর্বত্র ভয় দেখা যাচ্ছে। দালিতদেরকে মারধর করা হচ্ছে, অন্য সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই করার জন্য এক সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে।সংখ্যালঘুরা হুমকি অনুভব করছে, "রাহুল গান্ধী মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত হামলার এবং কম-সম্মানিত-বর্ণে হিন্দুদের প্রতি হামলার কথা উল্লেখ করে এই মন্তব্য করেন।কংগ্রেস পার্টি এমন একটি সংগঠন, যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের স্বাধীনতার পরপর সাত দশকের বেশিরভাগ সময় ভারত শাসন করেছে, সাম্প্রতিক সংসদীয় উপনির্বাচনে মোদির দলকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছে। রাহুল কি কংগ্রেস পার্টির ভাগ্য পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হবেন এবং ২019 সালের প্রথম দিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মোদিকে পরাজিত করবেন? শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আল জাজিরা এর উত্তর খোজার চেষ্টা করেছে। 

সুহাস পলাশকার, রাজনৈতিক বিশ্লেষকঃ বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যথেষ্ট বিচ্ছিন্নতা রয়েছে এবং বিরোধী কংগ্রেস অবশ্যই এর থেকে উপকৃত হতে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত, কংগ্রেসের পক্ষে কোনও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না এবং কংগ্রেসের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না যে যাতে করে বোজা যাবে যে তাদের সামাজিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে আসছে।বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হিন্দু বিরুধিতার অভিযোগ আনছে।হিন্দু ভোটারদের কাছে এটি একটি কঠিন কাজ হতে যাচ্ছে যে দলটি "হিন্দু বিরোধী" নয়।এই ক্ষেত্রে কংগ্রেস কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দ্রশ্যত মনে হচ্ছে না।
 
অধ্যাপক অশোক সোয়ান,আপসাল বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনঃ  বিজেপি সর্বদাই কংগ্রেসকে একটি হিন্দু-বিরোধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে।সোনিয়া গান্ধী দলের প্রধান পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এই এজেন্ডাতে বেশ সফল হয়ে উঠেছিল। তবে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর রাহুল গান্ধী এই ধারণাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন।বিজেপি জন্য, এখন রাহুল গান্ধীকে হিন্দুবিরোধী হিসাবে প্রমান করা কঠিন।আমি কংগ্রেসকে তার ধর্মনিরপেক্ষ পথ থেকে দূরে সরে আসার কারন দেখি না, কারণ এটি বিজেপির হিন্দুত্বের (হিন্দু সর্বহারা মতাদর্শের) বিকল্প প্রদান করেছে ।

২004 থেকে ২014 সালের মধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সমবায় বৃদ্ধির কৌশল উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২004 সাল থেকে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত একটি আইন গৃহীত হয় - তথ্য অধিকার আইন, জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি অ্যাক্ট, বন অধিকার আইন, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন এবং ভূমিতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং স্বচ্ছতার অধিকার। অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বেশকটি ভালো আইন পাস করেছে।যা কংগ্রেস কে আবার ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.